চট্টগ্রাম বন্দরে জরাজীর্ণ অবস্থায় দীর্ঘ এক দশক ধরে পড়ে থাকা ১০৮টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রি করা হবে। বিক্রির ক্লিয়ারিং পারমিট (সিপি) দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমকে। বিলাসবহুল গাড়িগুলোর মধ্যে রেঞ্জরোভার, মার্সিডিজ বেঞ্জ ও বিএমডব্লিউসহ ১০৮টি গাড়ি রয়েছে।
এর আগে ক্লিয়ারিং পারমিট না থাকায় একাধিকবার নিলামে তোলা হলেও বিক্রি হয়নি গাড়িগুলো। কাস্টমসের আইন অনুসারে কোনো গাড়ি উৎপাদনের ৫ বছর পেরিয়ে গেলে নিলাম অথবা বিক্রি করার ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সিপি (ক্লিয়ারিং পারমিট) নিতে হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার আল আমিন বলেন, চলতি মাসের শেষের দিকে গাড়িগুলো নিলামে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। গত ৪ নভেম্বর ইলেকট্রনিক নিলামের (ই-অকশন) মাধ্যমে ১১২টি গাড়ি সর্বশেষ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সে সময় মাত্র তিনটি গাড়ি বিডারকে দিতে পেরেছি আমরা।
এরমধ্যে বিএমডব্লিউ ২৫টি, মিৎসুবিসি ২৬টি, মার্সিডিজ বেঞ্জ ২৫টি, ল্যান্ডক্রুজার সাতটি, রেঞ্জরোভার সাতটি, লেক্সাস ছয়টি, ফোর্ড পাঁচটি, জাগুয়ার তিনটি, একটি দাইয়ু, সিআরভি একটি ও একটি হোন্ডাসহ সব মিলিয়ে মোট ১০৮টি গাড়ি রয়েছে।
কাস্টমসের তথ্যমতে, এসব গাড়ির নিলামে যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারেন। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ওয়েবসাইট অথবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটের ই-অকশন লিংকে ঢুকে দরপত্র দাখিল করতে পারবেন বিডাররা। আর কেউ গাড়িগুলো দেখতে চাইলে তিন দিন আগে জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্টের ছবিসহ কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করে পাস নিয়ে দেখতে পারবেন।